Sunday 24 September 2023

পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও

আল্লাহ তাআলার বাণীঃ ‘‘এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও- মাস্হ করবেস্বীয় মুখমন্ডল ও হাত।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/৪৩, সূরাহ্ আল-মায়িদাহ ৫/৬)

জাবির ইব্‌নু ‘আবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেনঃ আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আমার পুর্বে কাউকেও দান করা হয়নি।

(১) আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যে, একমাস দূরত্বেও তা প্রতিফলিত হয়;

(২) সমস্ত যমীন আমার জন্য পবিত্র ও সালাত আদায়ের উপযোগী করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কোন লোক ওয়াক্ত হলেই সালাত আদায় করতে পারবে;

(৩) আমার জন্য গানীমাতের মাল হালাল করে দেওয়া হয়েছে, যা আমার পূর্বে আর কারো জন্য হালাল করা হয়নি;

(৪) আমাকে (ব্যাপক) শাফাআতের অধিকার দেওয়া হয়েছে;

(৫) সমস্ত নবী প্রেরিত হতেন কেবল তাঁদের সম্প্রদায়ের জন্য, আর আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে সমগ্র মানব জাতির জন্য। ( মুসলিম ৫/১, হাঃ ৫২১ আহমাদ ১৪২৬৮)

আম্মার (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাটিতে হাত মারলেন এবং তাঁর চেহারা ও হস্তদ্বয় মাস্‌হ করলেন।

ইমরান ইব্‌নু হুসায়ন আল-খু্যাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যাক্তিকে জামাআতে সালাত আদায় না করে পৃথক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। তিনি লোকটিকে ডেকে বললেনঃ হে অমুক! তুমি জামাআতে সালাত আদায় করলে না কেন? লোকটি বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার গোসলের প্রয়োজন হয়েছিল, কিন্তু পানি নেই। তিনি বললেনঃ তুমি পবিত্র মাটির ব্যবহার (তায়াম্মুম) করবে। তা-ই তোমার জন্য যথেষ্ট। (৩৪৪)

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কোন এক সফরে বের হয়েছিলাম যখন আমরা ‘বায়যা অথবা ‘যাতুল জায়শ নামক স্থানে পৌঁছলাম তখন একখানা হার হারিয়ে গেল। আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সেখানে হারের খোঁজে থেমে গেলেন আর লোকেরাও তাঁর সঙ্গে থেমে গেলেন, অথচ তাঁরা পানির নিকটে ছিলেন না। তখন লোকেরা আবূ বক্‌র (রাঃ) এর নিকট এসে বললেনঃ ‘আয়িশা কী করেছেন আপনি কি দেখেন নি? তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ও লোকদের আটকিয়ে ফেলেছেন, অথচ তাঁরা পানির নিকটে নেই এবং তাঁদের সাথেও পানি নেই। আবূ বক্‌র (রাঃ) আমার নিকট আসলেন, তখন আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-আমার উরুর উপরে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন। আবূ বক্‌র (রাঃ) বললেনঃ তুমি আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর লোকদের আটকিয়ে ফেলেছ! অথচ আশেপাশে কোথাও পানি নেই। এবং তাঁদের সাথেও পানি নেই। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আবূ বক্‌র আমাকে খুব তিরস্কার করলেন আর, আল্লাহ্‌র ইচ্ছা, তিনি যা খুশি তাই বললেন। তিনি আমার কোমরে আঘাত দিতে লাগলেন। আমার উরুর উপর আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথা থাকায় আমি নড়তে পারছিলাম না। আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ভোরে উঠলেন, কিন্তু পানি ছিল না। তখন আল্লাহ্‌ তাআলা তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল করলেন। অতঃপর সবাই তায়াম্মুম করে নিলেন। উসায়দ ইব্‌নু হুযায়্‌র (রাঃ) বললেনঃ হে আবূ বক্‌রেরপরিবারবর্গ! এটাই আপনাদের প্রথম বরকত নয়। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ তারপর আমি যে উটে ছিলাম তাকে দাঁড় করালে দেখি আমার হারখানা তার নীচে পড়ে আছে। ( মুসলিম ৩/২৮, হাঃ ৩৬৭, আহমাদ ২৫৫১০)

আল্লাহ তাআলার বাণীঃ ‘‘এবং পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করে নাও- মাস্হ করবে স্বীয় মুখমন্ডল হাত।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা /৪৩, সূরাহ্ আল-মায়িদাহ /)

জাবির ইব্নুআবদুল্লাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-বলেনঃ আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আমার পুর্বে কাউকেও দান করা হয়নি।

() আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যে, একমাস দূরত্বেও তা প্রতিফলিত হয়;

() সমস্ত যমীন আমার জন্য পবিত্র সালাত আদায়ের উপযোগী করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কোন লোক ওয়াক্ত হলেই সালাত আদায় করতে পারবে;

() আমার জন্য গানীমাতের মাল হালাল করে দেওয়া হয়েছে, যা আমার পূর্বে আর কারো জন্য হালাল করা হয়নি;

() আমাকে (ব্যাপক) শাফাআতের অধিকার দেওয়া হয়েছে;

() সমস্ত নবী প্রেরিত হতেন কেবল তাঁদের সম্প্রদায়ের জন্য, আর আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে সমগ্র মানব জাতির জন্য। ( মুসলিম /, হাঃ ৫২১ আহমাদ ১৪২৬৮)

আম্মার (রাঃ) বলেছেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাটিতে হাত মারলেন এবং তাঁর চেহারা হস্তদ্বয় মাস্ করলেন।

ইমরান ইব্নু হুসায়ন আল-খু্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যাক্তিকে জামাআতে সালাত আদায় না করে পৃথক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন। তিনি লোকটিকে ডেকে বললেনঃ হে অমুক! তুমি জামাআতে সালাত আদায় করলে না কেন? লোকটি বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার গোসলের প্রয়োজন হয়েছিল, কিন্তু পানি নেই। তিনি বললেনঃ তুমি পবিত্র মাটির ব্যবহার (তায়াম্মুম) করবে। তা- তোমার জন্য যথেষ্ট। (৩৪৪)

নবী (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীআয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে কোন এক সফরে বের হয়েছিলাম যখন আমরাবায়যা অথবাযাতুল জায়শ নামক স্থানে পৌঁছলাম তখন একখানা হার হারিয়ে গেল। আল্লাহ্ রাসূল (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-সেখানে হারের খোঁজে থেমে গেলেন আর লোকেরাও তাঁর সঙ্গে থেমে গেলেন, অথচ তাঁরা পানির নিকটে ছিলেন না। তখন লোকেরা আবূ বক্ (রাঃ) এর নিকট এসে বললেনঃআয়িশা কী করেছেন আপনি কি দেখেন নি? তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)- লোকদের আটকিয়ে ফেলেছেন, অথচ তাঁরা পানির নিকটে নেই এবং তাঁদের সাথেও পানি নেই। আবূ বক্ (রাঃ) আমার নিকট আসলেন, তখন আল্লাহ্ রাসূল (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-আমার উরুর উপরে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলেন। আবূ বক্ (রাঃ) বললেনঃ তুমি আল্লাহ্ রাসূল (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর লোকদের আটকিয়ে ফেলেছ! অথচ আশেপাশে কোথাও পানি নেই। এবং তাঁদের সাথেও পানি নেই।আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ আবূ বক্ আমাকে খুব তিরস্কার করলেন আর, আল্লাহ্ ইচ্ছা, তিনি যা খুশি তাই বললেন। তিনি আমার কোমরে আঘাত দিতে লাগলেন। আমার উরুর উপর আল্লাহ্ রাসূল (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথা থাকায় আমি নড়তে পারছিলাম না। আল্লাহ্ রাসূল (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ভোরে উঠলেন, কিন্তু পানি ছিল না। তখন আল্লাহ্তাআলা তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল করলেন। অতঃপর সবাই তায়াম্মুম করে নিলেন। উসায়দ ইব্নু হুযায়্ (রাঃ) বললেনঃ হে আবূ বক্রেরপরিবারবর্গ! এটাই আপনাদের প্রথম বরকত নয়।আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ তারপর আমি যে উটে ছিলাম তাকে দাঁড় করালে দেখি আমার হারখানা তার নীচে পড়ে আছে। ( মুসলিম /২৮, হাঃ ৩৬৭, আহমাদ ২৫৫১০)

Khandaker Nazneen Sultana,

Writer and Journalist.









No comments:

Post a Comment