মুসল্লী সালাতে তার মহান প্রতিপালকের সঙ্গে গোপনে কথোপকথন করে।
গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের নিঃশ্বাসের অংশ।
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘নিশ্চয়ই সালাত নির্ধারিত সময়ে আদায় করা মু’মিনদের উপর ফার্য (ফরয)।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/১০৩)
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘তোমরা আল্লাহ্ অভিমুখী হও এবং তাঁকে ভয় কর আর সালাত প্রতিষ্ঠা কর, এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।’’ (সূরাহ্ আর-রূম ৩০/৩১)
'দিনের দু’প্রান্তে-সকাল ও সন্ধ্যায় এবং রাতের প্রথম অংশে সালাত কায়েম কর। নিশ্চয়ই ভালো কাজ পাপাচারকে মিটিয়ে দেয়’’- (হূদ ১১/১১৪)।
‘উরওয়াহ (রহ.) বলেনঃ অবশ্য ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন মুহূর্তে ‘আসরের সালাত আদায় করতেন যে, সুর্যরশ্মি তখনও তাঁর হুজরার মধ্যে থাকতো। তবে তা উপরের দিকে উঠে যাওয়ার পূর্বেই। ( মুসলিম ৫/৩১, হাঃ ৬১০, ৬১১, আহমাদ ২৬৪৩৮)
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাদের চারটি বিষয়ে নির্দেশ দিচ্ছি, আর চারটি বিষয় হতে তোমাদের নিষেধ করছি। নির্দেশিত বিষয়ের মাঝে একটি হলো ‘ঈমান বিল্লাহ্’ (আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা)। অতঃপর তিনি তাদেরকে ব্যাখ্যা করে বুঝালেন যে, ‘ঈমান বিল্লাহর’ অর্থ হলো, এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, সত্যিকার অর্থে এক আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ্ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূল; সালাত কায়েম করা, যাকাত দেয়া, আর গনীমতের মালের এক-পঞ্চমাংশ দান করা। আর তোমাদের নিষেধ করছি কদুর পাত্র, সবুজ রঙের মাটির পাত্র, বিশেষ ধরনের তৈলাক্ত পাত্র ও গাছের গুড়ি খোদাই করে তৈরি পাত্র ব্যবহার করতে।
জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট সালাত আদায়, যাকাত প্রদান এবং প্রত্যেক মুসলিমকে নাসীহাত করার বায়‘আত গ্রহণ করেছি।
সালাত হলো (গুনাহর) কাফ্ফারা।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ নিজের পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি, পাড়া-প্রতিবেশীদের ব্যাপারে যে ফিতনায় পতিত হয়- সালাত, সিয়াম, সদাক্বাহ, (ন্যায়ের) আদেশ ও (অন্যায়ের) নিষেধ তা দূরীভূত করে দেয়।
আবূ ‘আমর শায়বানী (রহ.) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করলেন , কোন্ ‘আমল আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়? তিনি বললেন, ‘যথা সময়ে সালাত আদায় করা। ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, অতঃপর পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার। ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) আবার জিজ্ঞেস করলেন, অতঃপর কোনটি? আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অতঃপর জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ্ (আল্লাহর পথে জিহাদ)। (মুসলিম ১/৩৬, হাঃ ৮৫, আহমাদ ৪২২৩)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতেশুনেছেন, ‘‘বলতো যদি তোমাদের কারো বাড়ির সামনে একটি নদী থাকে, আর সে তাতে প্রত্যহ পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার দেহে কোন ময়লা থাকবে? তারা বললেন, তার দেহে কোনোরূপ ময়লা বাকী থাকবে না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ হলো পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ। এর মাধ্যমে আল্লাহ্ তা‘আলা (বান্দার) গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেন। (মুসলিম ৫/৫১, হাঃ ৬৬৭, আহমাদ ৮৯৩৩)
আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাজদায় ই‘তিদাল বজায় রাখ। তোমাদের কেউ যেন তার বাহুদ্বয় কুকুরের মতো বিছিয়ে না দেয়। আর যদি থুথু ফেলতে হয়, তাহলে সে যেন সামনে ও ডানে না ফেলে। কেননা, সে তখন তার প্রতিপালকের সঙ্গে গোপন কথায় লিপ্ত থাকে।
আবূ হুরাইরাহ্ ও ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পায়, তখন গরম কমলে সালাত আদায় করবে। কেননা, গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের নিঃশ্বাসের অংশ।
আরবের মরু আলাকায় উত্তপ্ত বালু ও মরু ঝড়ের কারণে সেখানে প্রচণ্ড গরম দেখা দিত। তাই কখনও কখনও যুহরের সালাত কিছুটা বিলম্বে আদায় করতেন। কিন্তু আমাদের দেশে আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ, তুলনামূলক ঠাণ্ডা। তাই এখানে সব সময় আওয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায়ে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই।
জাহান্নাম তার প্রতিপালকের নিকট এ বলে নালিশ করেছিলো, হে আমার প্রতিপালক! (দহনের প্রচন্ডতায়) আমার এক অংশ আর এক অংশকে গ্রাস করে ফেলেছে। ফলে আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে দু’টি শ্বাস ফেলার অনুমতি দিলেন, একটি শীতকালে আর একটি গ্রীষ্মকালে। আর সে দু’টি হলো, তোমরা গ্রীষ্মকালে যে প্রচন্ড উত্তাপ এবং শীতকালে যে প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভব কর তাই। (৩২৬০; মুসলিম ৫/৩২, হাঃ ৬১৫, ৬১৭, আহমাদ ৭২৫১)
ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা্য়অবস্থানকালে (একবার) যুহর ও ‘আসরের আট রাক‘আত এবং মাগরিব ও ‘ইশার সাত রাক‘আত একত্রে মিলিত আদায় করেন। আইয়ূব (রহ.) বলেন, সম্ভবত এটা বৃষ্টির রাতে হয়েছিল।
বিশেষ প্রয়োজনে , ঝড় বৃষ্টি কিংবা শঙ্কা থাকলে যুহর-আসর এবং মাগরিব-ইশা একসাথে পরপর আদায় করা জায়িয। সফর অবস্থাতেও যুহর ও আসর কসর করে যুহরের ওয়াক্তে কিংবা আসরের ওয়াক্তে আদায় করা জায়িয। অনুরূপ অবস্থায় মাগরিবের তিন রাক'আত ও পরখনেই ইশার দু'রাক'আত একসঙ্গে আদায় করা জায়িয।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ইশার সালাতের পূর্বে নিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন।
আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তির ’আসরের সালাত ছুটে যায়, তাহলে যেন তার পরিবার-পরিজন ও মাল-সম্পদ সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গেল।(মুসলিম ৫/৩৫, হাঃ ৬২৬, আহমাদ ৫৭৮৪)
আত্বা (রহ.) বলেন, অসুস্থ ব্যক্তি মাগরিব ও ‘ইশার সালাত একত্রে আদায় করতে পারবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘আসরের সালাত ছেড়ে দেয় তার ‘আমল বিনষ্ট হয়ে যায়।
‘‘কাজেই তোমার প্রতিপালকের প্রশংসার তাসবীহ্ পাঠ কর সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে’’- (সূরাহ্ ক্বাফ ৫০/৩৯)
জারীর ইবনু ‘আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ ঐ চাঁদকে তোমরা যেমন দেখছ, ঠিক তেমনি অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা দেখতে পাবে। তাঁকে দেখতে তোমরা কোন ভীড়ের সম্মুখীন হবে না। কাজেই সূর্য উদয়ের এবং অস্ত যাওয়ার পূর্বের সালাত (শয়তানের প্রভাবমুক্ত হয়ে) আদায় করতে পারলে তোমরা তাই করবে। (মুসলিম ৫/৩৬, হাঃ ৬৩৩, আহমাদ ১৯২১১)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বে ‘আসরের সালাতের এক সাজদা পায়, তাহলে সে যেন সালাত পূর্ণ করে নেয়। আর যদি সূর্য উদিত হবার পূর্বে ফজরের সালাতের এক সিজদা পায়, তাহলে সে যেন সালাত পূর্ণ করে নেয়। ( মুসলিম ৫/৩০, হাঃ ৬০৮, আহমাদ ৯৯৬১)
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মালাকগণ পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন; একদল দিনে, একদল রাতে। ‘আসর ও ফজরের সালাতে উভয় দল একত্র হন। অতঃপর তোমাদের মাঝে রাত যাপনকারী দলটি উঠে যান। তখন তাদের প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞেস করেন, আমার বান্দাদের কোন্ অবস্থায় রেখে আসলে? অবশ্য তিনি নিজেই তাদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবত। উত্তরে তাঁরা বলেন, আমরা তাদের সালাতে রেখে এসেছি, আর আমরা যখন তাদের নিকট গিয়েছিলাম তখনও তারা সালাত আদায়রত অবস্থায় ছিলেন। ( মুসলিম ৫/৩৬, হাঃ ৬৩২, আহমাদ ১০৩১৩)
সালিম ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেন, আগেকার উম্মাতের স্থায়িত্বের তুলনায় তোমাদের স্থায়িত্ব হলো ’আসর হতে নিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার মধ্যবর্তী সময়ের ন্যায়। তাওরাত অনুসারীদেরকে তাওরাত দেয়া হয়েছিল। তারা তদনুযায়ী কাজ করতে লাগলো; যখন দুপুর হলো, তখন তারা অপারগ হয়ে পড়লো। তাদের এক এক ’কীরাত’ করে পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়। আর ইঞ্জিল অনুসারীদেরকে ইঞ্জিল দেয়া হলো। তারা ’আসরের সালাত পর্যন্ত কাজ করে অপরাগ হয়ে পড়লো। তাদেরকে এক এক ’কীরাত’ করে পারিশ্রমিক দেয়া হলো। অতঃপর আমাদেরকে কুরআন দেয়া হলো। আমরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত কাজ করলাম। আমাদের দু’ দু’ ’কীরাত’ করে দেয়া হলো। এতে উভয় কিতাবী সম্প্রদায় বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের দু’ দু’ ’কীরাত’ করে দান করেছেন, আর আমাদের দিয়েছেন এক এক কীরাত করে; অথচ আমলের দিক দিয়ে আমরাই বেশি। আল্লাহ্ তা’আলা বললেনঃ তোমাদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি কি তোমাদের প্রতি কোনোরূপ যুলুম করেছি? তারা বললো, না। তখন আল্লাহ তা’আলা বললেনঃ এ হলো, আমার অনুগ্রহ যাকে ইচ্ছা তাকে দেই।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত প্রচন্ড গরমের সময় আদায় করতেন। আর ‘আসরের সালাত সূর্য উজ্জ্বল থাকতে আদায় করতেন, মাগরিবের সালাত সূর্য অস্ত যেতেই আর ‘ইশার সালাত বিভিন্ন সময়ে আদায় করতেন। যদি দেখতেন, সকলেই সমবেত হয়েছেন, তাহলে সকাল সকাল আদায় করতেন। আর যদি দেখতেন, লোকজন আসতে দেরী করছে, তাহলে বিলম্বে আদায় করতেন। আর ফজরের সালাত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকার থাকতে আদায় করতেন। (৫৬৫; মুসলিম ৫/৪০, হাঃ ৬৪৬, আহমাদ ১৪৯৭৩)
আবূ বারযাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘ইশার পূর্বেনিদ্রা যাওয়া এবং পরে কথাবার্তা বলা অপছন্দ করতেন।
’’সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনি আপনার প্রতিপালকের প্রশংসায় তাসবীহ্ পাঠ করুন’’- (সূরা কাফ ৫০:৩৯ )।
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন; মুসলিম মহিলাগণ সর্বাঙ্গ চাদরে ঢেকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে ফজরের জামা‘আতে হাযির হতেন। অতঃপর সালাত আদায় করে তারা নিজ নিজ ঘরে ফিরে যেতেন। আবছা আঁধারে কেউ তাঁদের চিনতে পারতো না।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূর্য উঠার পূর্বে ফজরের সালাতের এক রাক‘আত পায়, সে ফজরের সালাত পেল। আর যে ব্যক্তি সূর্য ডুবার পূর্বে ‘আসরের সালাতের এক রাক‘আত পেলো সে ‘আসরের সালাত পেল।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন সালাতের এক রাক‘আত পায়, সে সালাত পেলো। (৫৫৬; মুসলিম ৫/৩০, হাঃ ৬০৭)
খন্দকার
নাজনীন সুলতানা ,
লেখক, সাংবাদিক।