Saturday, 31 August 2013
হযরত ইউসুফ (আঃ) ও জুলেখা
হযরত ইউসুফ (আঃ) এর পিতা ছিলেন হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম। হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর স্ত্রীর পক্ষ হতে বার জন ছেলে ছিল। ইউসুফ (আঃ) ও তার ছোট ভাই বিনইয়ামীন ছিলেন একই মায়ের ওরসের। ছোটবেলাতেই হযরত ইউসুফ (আঃ), ইয়াকুব (আঃ) এর উপর নবুয়তের নূরের উজ্জ্বল আভা দেখতে পেয়েছিলেন। আবার ইউসুফ (আঃ) ও বিনইয়ামীনের মাতা তাদেরকে শিশু অবস্থায় রেখেই মারা যান। তাই ইয়াকুব (আঃ) এদের দুইভাইকে অন্যদের চেয়ে একটু বেশী আদর করতেন। তাই বড় ভাইয়েরা তাদের দুজনকেই হিংসা করতো।
Friday, 30 August 2013
হযরত সালেহ (আঃ) ও আল্লাহর উষ্ট্রী
হযরত সালেহ (আঃ) সামুদ জাতির জন্য পয়গম্বর নিয়োজিত হয়েছিলেন। তাঁর জাতি মদীনা ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে বসবাস করতো। হুদ (আঃ) এর উম্মত আ’দ জাতি যখন আল্লাহ তা’য়ালার গজবে পড়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, তখন হুদ (আঃ) এবং তাঁর অনুসারী মোমেনগন আল্লাহর অশেষ রহমতে রক্ষা পেয়েছিলেন। তারাই পরবর্তীকালে সামুদ জাতি হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।
সামুদ জাতি পার্থিব সভ্যতায় বেশ উন্নত ও প্রগতিশীল ছিল। তারা ‘ওয়াদিল কুরা’ নামক এলাকায় পাহাড়-পর্বতের ভিতরে, উপরে ও সমতলভূমিতে সুরম্য প্রসাদ নির্মান করতো। কালের বিবর্তনে যখন সামুদ জাতি এক আল্লাহর এবাদত বন্দেগী ত্যাগ করে পৌত্তলিকতায় এবং মূর্তি পূজায় লিপ্ত হলো, তখন সালেহ (আঃ) তাদের মাঝেই জন্ম গ্রহন করলেন এবং তাদের জন্য নবীরূপে মনোনীত হলেন।
হযরত হুদ (আঃ) ও ‘জন শুন্য ভূখন্ড’
আদ নামে হযরত নূহ (আঃ) এর এক পৌত্রের পুত্র ছিল। তাঁর বংশধররাই আদ জাতি নামে পরিচিত। হযরত হুদ (আঃ) সেই আ’দ জাতির প্রতি নবীরূপে প্রেরিত হয়েছিলেন।
নূহ (আঃ) এর সময়ে তুফানে সব কাফের মোশরেক ধ্বংস হয়ে যাবার পর, দুনিয়া পূনরায় নতুনভাবে ঈমানদার ব্যক্তিদের নিয়ে আবাদ হয়েছিল। তারপর এই আ’দ জাতিই প্রথম কুফরী ও শিরেকীতে লিপ্ত হয়। তারা মূর্তি পূজা ও দেব-দেবীর উপাসনা করতো। হুদ (আঃ)কে তাই আল্লাহ তা’য়ালা তাদের হেদায়েতের জন্য পাঠান।
Wednesday, 28 August 2013
হযরত লুত (আঃ) ও মরু সাগর
নবী হযরত লুত (আঃ) এর পিতার নাম ছির হারান। লূত (আঃ) ছিলেন ইব্রাহীম (আঃ) এর ভাইয়ের ছেলে। ভাতিজা লূত (আঃ) ছোটবেলা থেকেই ইব্রাহীম (আঃ) এর সাহচর্যে বড় হন। এবং ইব্রাহীম (আঃ) এর আহবানে সাড়া দিয়ে সঠিক ধর্ম গ্রহন করেন ও সেই সত্য ধর্ম প্রচার করার জন্য মাতৃভূমি ইরাক ত্যাগ করে হিজরত করে মিশরে চলে আসেন। তিনি ইব্রাহীম (আঃ) এর যুগেই নবুয়ত প্রাপ্ত হন।
শিশু ইসমাঈল (আঃ) ও যমযম কূপ
ইসমাঈল (আঃ) এর পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও মাতা হাজেরা (রাঃ)। জন্মের কিছুদিন পর আল্লাহর আদেশে হযরত ইব্রাহীম (আঃ), বিবি হাজেরা (রাঃ) ও শিশু পুত্র ইসমাঈল (আঃ) কে মক্কা নগরীর বাক্কা নামক স্থানে রেখে এলেন। বিবি হাজেরা (রাঃ) শিশু ইসমাঈল (আঃ) কে নিয়ে একটি গাছের নীচে আশ্রয় গ্রহন করলেন। তখন সেই এলাকায় কোন মানুষ ছিল না। পানিরও কোন ব্যবস্থা ছিল না। তাঁদের সাথে ছিল একটি থলিতে কিছু খুরমা খেজুর আর একটি মোশকে কিছু পানি।
বিবি হাজেরা (রাঃ) এই জন-মানবহীন মরুভূমিতে শিশু ইসমাঈলকে নিয়ে থাকতে প্রথমে ভয় পাচ্ছিলেন কিন্তু যখন শুনলেন আল্লাহর ইচ্ছা, তাঁদেরকে এভাবে থাকতে হবে। তখন আল্লাহর ইচ্ছা ও আশ্রয়ে বিবি হাজেরা (রাঃ) সন্তুষ্ট হলেন। আল্লাহর আশ্রয়ের উপর কোন আশ্রয়ই হতে পারে না। অতএব, শুকর আলহামদুলিল্লাহ।
Monday, 26 August 2013
যুলকার নাইন, এস্কান্দার ও সেকান্দরের প্রাচীর
যুলকার নাইন একজন খোদাভক্ত ও ন্যায়পরায়ন বাদশাহ ছিলেন। তাঁর প্রতি আল্লাহ তা’য়ালার বিশেষ বানীও এসেছিল বলে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে। নবী করীম (সাঃ) এর যুগের প্রায় আড়াই বৎসর পূর্বে ইব্রাহীম (আঃ) এর সময় এস্কান্দার নামে এই বাদশাহ ছিলেন। পবিত্র কোরআনে বর্নিত গুনাবলী অনুযায়ী সেই এস্কান্দর নামক বাদশাহ ও যুলকার নাইন বাদশাহ একই ব্যক্তি।
Saturday, 24 August 2013
আল্লাহ্ কতৃক মৃতকে জীবন দান
মহান আল্লাহ তা’য়ালার অপার শক্তি। তিনি জীবন দান করেন। মৃত্যু ঘটান। আবার মৃতকে পূনরায় জীবিত করতে পারেন। একদা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) আবদার করলেন, হে আল্লাহ আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন, দেখার খুব ইচ্ছে আমার। আল্লাহ তা’য়ালা বললেন, আচ্ছা, তবে চারটি পাখী সংগ্রহ করুন এবং পেলে পুষে এদের সাথে ভালোভাবে পরিচিত হন। অতপর: এই পাখীগুলোকে জবাই করে টুকরো করে এক একটার এক এক অংশ এক এক পাহাড়ে রেখে আসুন। তারপর ঐ পাখীগুলোকে ডাকুন, দেখবেন আপনার চোখের সামনে প্রত্যেকটি পাখীর বিভিন্ন অংশ একত্রিত হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করে আপনার কাছে দৌড়ে আসবে। আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান, সুকৌশলী, আল্লাহ সবই পারেন- মনে সর্বদাই এই বিশ্বাস রাখতে হবে।
হযরত নূহ (আঃ) এর আশ্চর্য নৌকা
পৃথিবীতে হযরত আদম (আঃ) এর পর তাঁর পুত্র শীষ (আঃ) নবুয়ত প্রাপ্ত হন। তারপর আসেন ইদ্রীছ (আঃ)। অনেকের মতে নূহ (আঃ) ছিলেন ইদ্রীছ (আঃ) এর পৌত্র। হযরত নূহ (আঃ) চল্লিশ বৎসর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। তিনি দীর্ঘ ৯৫০ (নয়শত পঞ্চাশ) বৎসর পর্যন্ত চেষ্টা ও পরিশ্রম করে তাঁর ১৬০ (এক শত ষাট) জন উম্মতকে আল্লাহর পথে আনতে পেরেছিলেন। এর মধ্যে ৮০ (আশি) জন ছিলেন পুরুষ ও ৮০ (আশি) জন মহিলা। আর কেউ ঈমান আনলো না। একসময় আল্লাহ নিজেই নূহ (আঃ) কে অহী মারফত জানিয়ে দিলেন যে, তাঁর আর অন্য কোন উম্মতই ঈমান আনবে না।
Friday, 23 August 2013
Tuesday, 20 August 2013
সূক্ষ ভাবে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারন ক্রেতারা . মিষ্টির দাম =কাগজের প্যাকেটের দাম
সন্মানিত পাঠকগন, একটু লক্ষ্য করুন, মিষ্টির দোকানে কাগজের যে প্যাকেটে করে মিষ্টি বিক্রি করে সেই প্যাকেটের দামও মিষ্টির দামের সমান। অর্থাৎ,
মিষ্টির দাম =কাগজের প্যাকেটের দাম।
যখন মিষ্টির দাম ১৮০টাকা কেজি, তখন কাগজের প্যাকেটের কেজিও ১৮০ টাকা।
যখন মিষ্টির দাম ২২০ টাকা কেজি, তখন কাগজের প্যাকেটের কেজিও ২২০ টাকা।
যখন মিষ্টির দাম ৩২০ টাকা কেজি, তখন কাগজের প্যাকেটের কেজিও ৩২০ টাকা।
যখন মিষ্টির দাম ৪০০ টাকা কেজি, তখন কাগজের প্যাকেটের কেজিও ৪০০টাকা।
যখন মিষ্টির দাম ৫০০ টাকা কেজি, তখন কাগজের প্যাকেটের কেজিও ৫০০ টাকা।
লুৎফর রহমান সরকার ঃ একজন আদর্শ শিক্ষাগুরু
ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিৎ সে সম্পর্কে আমরা কম-বেশী সবাই জানি। একজন আদর্শ শিক্ষকের যে গুণাবলীর কথা বলা হয়ে থাকে তা আজকাল আর তেমন চোখে পড়ে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে পড়ার সময় মাস্টার্সে উঠে জানতে পারলাম জনাব লুৎফর রহমান সরকার, যিনি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত, তিনি আমাদের ক্লাস নিবেন। ক্লাস ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার উপর বাড়তি দায়িত্ব ছিল শিক্ষকদের কলা ভবনের সামনে থেকে নির্ধারিত ক্লাস পর্যন্ত নিয়ে আাসা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে পড়ার সময় মাস্টার্সে উঠে জানতে পারলাম জনাব লুৎফর রহমান সরকার, যিনি প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত, তিনি আমাদের ক্লাস নিবেন। ক্লাস ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার উপর বাড়তি দায়িত্ব ছিল শিক্ষকদের কলা ভবনের সামনে থেকে নির্ধারিত ক্লাস পর্যন্ত নিয়ে আাসা।
Subscribe to:
Posts (Atom)